Shopping cart

No products in the cart.

স্কিল ডেভেলপমেন্ট নাকি গেম খেলা – এসএসসি পর সময়ের সঠিক ব্যবহার

স্কিল ডেভেলপমেন্ট নাকি গেম খেলা – এসএসসি পর সময়ের সঠিক ব্যবহার

ভূমিকা

 

স্কিল ডেভেলপমেন্ট নাকি গেম খেলা – এসএসসি পর সময়ের সঠিক ব্যবহার। এসএসসি পরীক্ষা শেষ মানেই এক দীর্ঘ বিরতি। প্রায় ৩-৪ মাস সময় হাতে থাকে যেখানে পড়াশোনার চাপ নেই, স্কুলের ক্লাস নেই, পরীক্ষার টেনশন নেই। এই সময়টা অনেক শিক্ষার্থীর কাছে স্বপ্নপূরণের প্রথম ধাপ হতে পারে, আবার অনেকের জন্য সময় নষ্টের অন্যতম মাধ্যমও হতে পারে। এই সময় কীভাবে কাটানো যায় স্কিল ডেভেলপমেন্ট নাকি শুধু গেম খেলে সময় নষ্ট—এই প্রশ্নই আজকের আলোচ্য বিষয়।

 

গেম খেলা: বিনোদন না সময়ের অপচয়?

 

বর্তমানে অনলাইন গেমিং একটি জনপ্রিয় ট্রেন্ড। PUBG, Free Fire, Call of Duty-এর মতো গেমগুলো কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে তুমুল জনপ্রিয়। এই গেমগুলো বিনোদনের জন্য ভালো হলেও, অতিরিক্ত সময় ব্যয় করলে তা মানসিক চাপ, চোখের সমস্যা, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এমনকি আসক্তির কারণ হতে পারে।

 

তবে হ্যাঁ, গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতেও ক্যারিয়ার গড়া যায়, তবে সেটা শুধুমাত্র প্যাশন, দক্ষতা ও প্রফেশনাল প্রশিক্ষণ থাকলে। গেম খেলে শুধুই মজা নেওয়া আর ক্যারিয়ার হিসেবে গেমিংকে নেওয়ার মধ্যে অনেক তফাৎ।

 

 তাহলে এই সময়টা কীভাবে কাজে লাগানো যায়?

 

এই সময়টাকেই যদি আমরা দক্ষতা অর্জনের সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করি, তাহলে ভবিষ্যতে তার সুফল ভোগ করা সহজ হবে। কারণ এই বয়সেই শেখার আগ্রহ, সময় এবং মানসিক প্রস্তুতি সবচেয়ে বেশি থাকে।

 

স্কিল ডেভেলপমেন্ট: ভবিষ্যতের জন্য বুদ্ধিদীপ্ত বিনিয়োগ

 

স্কিল ডেভেলপমেন্ট মানে শুধুমাত্র কোন একটা কোর্স করা নয়, বরং নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করা। এই সময়টা যদি আপনি কোনো প্রফেশনাল স্কিল শেখার জন্য কাজে লাগান, তাহলে আপনি এসএসসি পাশ করার পর থেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে আয় শুরু করতে পারেন।

 

 এসএসসি ব্যাচের জন্য অ্যাবাকস সফ্ট বিডিএর বিশেষ উদ্যোগ

অ্যাবাকস সফ্ট বিডি লিমিটেড নিয়ে এসেছে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স, যেগুলোর মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থী অল্প সময়ের মধ্যেই হয়ে উঠতে পারে দক্ষ ও কর্মক্ষম। আমাদের কোর্সগুলো এমনভাবে সাজানো হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা হাতে-কলমে কাজ শিখে বাস্তব জগতে প্রফেশনালি কাজ করতে পারে।

নিচে আমাদের জনপ্রিয় কোর্সগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো

 

. গ্রাফিক্স ডিজাইন:

 

এই কোর্সে Adobe Photoshop, Illustrator-এর ব্যবহার শেখানো হয়। লোগো ডিজাইন, ব্যানার, পোস্টার, সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট তৈরি—সবকিছু শেখানো হয় প্রজেক্ট ভিত্তিক পদ্ধতিতে।

কেন শিখবেন: গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের অনলাইন মার্কেটপ্লেসে চাহিদা প্রচুর। ঘরে বসেই মাসে আয় করা সম্ভব ১০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে লক্ষাধিক।

 

 . ডিজিটাল মার্কেটিং:

 

এই কোর্সে Facebook Marketing, SEO, Email Marketing, Content Marketing ইত্যাদি শেখানো হয়। আজকের দিনে যে কোন ব্যবসা সফল করতে হলে ডিজিটাল মার্কেটিং অপরিহার্য।

ছোট-বড় সব ধরনের ব্যবসায় অনলাইন মার্কেটিং এখন অপরিহার্য। এই স্কিলে দক্ষ হলে আপনি নিজের বা অন্যের ব্যবসা অনলাইনে জনপ্রিয় করে তুলতে পারবেন।

 

 . মোশন গ্রাফিক্স:

 

মোশন গ্রাফিক্স মানে স্ট্যাটিক ছবিকে জীবন্ত করা। এই কোর্সে After Effects-এর ব্যবহার, এনিমেশন, ট্রানজিশন ইত্যাদি শেখানো হয়।

ইউটিউব, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম—সবখানেই ভিডিও কনটেন্টের দারুণ চাহিদা। মোশন গ্রাফিক্স জানলে আপনি আকর্ষণীয় ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।

 

 . ভিডিও এডিটিং:

 

Premiere Pro, CapCut, DaVinci Resolve-এর মতো সফটওয়্যার দিয়ে কীভাবে ভিডিও কাট, জোড়া, কালার কারেকশন, ট্রানজিশন ইত্যাদি করতে হয়, তা শেখানো হয়।

কেন শিখবেন: ভিডিও কন্টেন্টের চাহিদা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। ভিডিও এডিটর হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং করে খুব ভালো আয় করা সম্ভব।

 

 . ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট:

 

HTML, CSS, JavaScript, WordPress এবং অন্যান্য ওয়েব টুলস দিয়ে কীভাবে একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয়, তা শেখানো হয়।

ওয়েবসাইট এখন সকল প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন। একজন দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার হিসেবে আপনি সহজেই অনলাইন মার্কেটপ্লেসে কাজ পেতে পারেন।

 

 . ইথিক্যাল হ্যাকিং:

 

এই কোর্সে নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি, সাইবার এটাক, ডিফেন্স টেকনিক, ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন সিকিউরিটি ইত্যাদি শেখানো হয়।

সাইবার নিরাপত্তা এখন সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই কোর্স আপনাকে ভবিষ্যতের অন্যতম চাহিদাসম্পন্ন পেশার জন্য প্রস্তুত করবে।

 

কোথায় এবং কীভাবে শুরু করবেন?

 

অ্যাবাকস সফ্ট বিডি লিমিটেড (www.abacussoftbd.com) – Jessore এর অন্যতম সেরা আইটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে খ্যাত। আমাদের অভিজ্ঞ মেন্টর, প্রজেক্ট ভিত্তিক শেখার পদ্ধতি, ইন্ডাস্ট্রি ভিত্তিক কারিকুলাম এবং সাপোর্ট সিস্টেম একজন শিক্ষার্থীকে প্রফেশনাল ক্যারিয়ারের জন্য প্রস্তুত করে।

 

ক্লাস পদ্ধতি:

  • লাইভ ক্লাস
  • প্রজেক্ট ভিত্তিক শেখা
  • রেকর্ডেড ভিডিও সাপোর্ট
  • সাপ্তাহিক এসাইনমেন্ট
  • সার্টিফিকেট ও ফ্রিল্যান্সিং গাইডলাইন

 

স্কিল ডেভেলপমেন্ট বনাম গেমিংকোনটা আপনার জন্য?

 

গেম খেলে আপনি হয়তো কিছুক্ষণ আনন্দ পাবেন, কিন্তু স্কিল ডেভেলপমেন্ট আপনার জন্য তৈরি করবে একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ। তাই সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করুন, নিজেকে তৈরি করুন নতুন পৃথিবীর জন্য। এই বয়স, এই সময় একবারই আসে – সেটাকে কাজে লাগান ভবিষ্যতের সোনালি দিন গড়তে।

 

উপসংহার

 

এসএসসি পরবর্তী সময়টা শুধু বিশ্রামের নয়, বরং নিজেকে প্রস্তুত করার সময়। স্কিল ডেভেলপমেন্ট মানে ভবিষ্যতের বিনিয়োগ, আর গেমিং কেবল সাময়িক আনন্দ। আপনি কোনটা বেছে নেবেন? সিদ্ধান্ত আপনার, তবে আমরা চাই আপনি এগিয়ে যান ভবিষ্যতের দিকে, স্কিল নিয়ে, আত্মবিশ্বাস নিয়ে।

 

যোগাযোগ করুন:

ওয়েবসাইট: www.abacussoftbd.com

ফোন: +88 01771509749

ঠিকানা: Level 8, IT park, Jessore

স্কিল শিখুন, ক্যারিয়ার গড়ুন – এসএসসি পর সময় হোক আপনার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট!

স্কিল ডেভেলপমেন্ট বনাম গেমিং – কোনটা আপনার জন্য?

স্কিল ডেভেলপমেন্ট নাকি গেম খেলা – এসএসসি পর সময়ের সঠিক ব্যবহার

গেম খেলে আপনি হয়তো কিছুক্ষণ আনন্দ পাবেন, কিন্তু স্কিল ডেভেলপমেন্ট আপনার জন্য তৈরি করবে একটি সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ।

তাই সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করুন, নিজেকে তৈরি করুন নতুন পৃথিবীর জন্য। এই বয়স, এই সময় একবারই আসে – সেটাকে কাজে লাগান ভবিষ্যতের সোনালি দিন গড়তে।

Leave A Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *